রুবিকা হত্যা: রুবিকা এভাবে মরেনি, দিলদারের মন ঘৃণার বিষে ভরে গেছে, ভয়ঙ্কর পদক্ষেপের পেছনে অনেক শয়তান
রাবিকা হত্যা মামলায় প্রকাশ
– ছবি: সোশ্যাল মিডিয়া
খবর শুনুন
বিশদ
দিলদার আনসারি এবং তার পরিবারের অভিযুক্ত সদস্যদের, যারা তার স্ত্রী রুবিকাকে হত্যা করে এবং ঝাড়খণ্ডের সাহেবগঞ্জে তার দেহকে 50 টুকরো টুকরো করে ফেলেছিল, তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেফতারের পর ধীরে ধীরে হত্যা মামলা থেকে পর্দা উঠছে। অভিযুক্ত স্বামী স্বীকার করেছেন যে পারিবারিক কলহের জের ধরে তিনি তার স্ত্রীর লাশ টুকরো টুকরো করে পরে জেলার বিভিন্ন স্থানে ফেলে দেন। পুলিশ জানায়, শুক্রবার রাতে 22 বছর বয়সী রুবিকা পাহাদিনের সঙ্গে অভিযুক্ত দিলদার আনসারি ও তার পরিবারের সদস্যদের ঝগড়া হয়। ক্ষোভে অভিযুক্ত স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যরা তাকে হত্যা করে লাশ টুকরো টুকরো করে ফেলে। আসামি প্রায় এক মাস আগে পাহাড়দিনকে বিয়ে করেন এবং সে তার দ্বিতীয় স্ত্রী।
এই দুজনের মধ্যে প্রেম
বলা হচ্ছে, বোরিও থানা এলাকার মাথিও ডোন্ডা পাহাড়ের বাসিন্দা রুবিকা পাহাদিন হাট বাজারে আসতেন। দিলদারের চোখ পড়ে তিন মাস আগে। কথা বলে ধীরে ধীরে রুবিকাকে নিজের প্রেমের জালে আটকে বিয়ে করে। এক মাস ধরে দুজনে একসঙ্গে থাকছিলেন। প্রথম বিয়ের বিষয়টি গোপন করে বিয়ে করেছিলেন দিলদার। অন্যদিকে কয়েকদিন পর রুবিকা জানতে পারলে দিলদারের আগে থেকেই বউ আছে, সে দিলদারকে বকাঝকা শুরু করে। এরপর প্রতিদিনই দুজনের মধ্যে ঝগড়া হতো। কিন্তু পরিবারের লোকজন তাকে সমর্থন দিতে শুরু করলে এই ঝগড়া আরও জোরদার হয়।
পরিবারের লোকজন দিলদারের মন বিষিয়ে তোলে
রুবিকার সঙ্গে তার বিয়েতে খুশি ছিলেন না দিলদারের পরিবারের সদস্যরা। তাই দিলদারের মনে বিদ্বেষের বিষ ঢালতে থাকে পরিবারের সদস্যরা। পরিবারের লোকজন তাকে প্রতিদিন রুবিকার বিরুদ্ধে উস্কানি দিত। এমনকি তার প্রথম স্ত্রীর মধ্যেও ঝগড়া শুরু হয়। যার কারণে চাপে আসতে থাকে দিলদার। এরপর দিলদারের পরিবারের লোকজন পরিকল্পিতভাবে রুবিকাকে হত্যা করে লাশ ৫০ টুকরো করে এখানে-ওখানে ফেলে দেয়।
রুবিকা হত্যার পেছনে অনেক দুষ্ট মুখ, সুপারি দিয়েছেন শাশুড়ি
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রুবিকাকে হত্যার জন্য নিহতের শাশুড়ি মরিয়ম খাতুন তার ভাই অর্থাৎ দিলদারের মামা মইনুল হককে ২০ হাজার টাকা সুপারি দিয়েছিলেন। মরিয়ম গত শুক্রবার বেলা টোলায় তার ব্যক্তিগত বাসা থেকে তাকে তার ভাই মইনুল হকের বোরিও মঞ্জ টোলায় তার বাসায় নিয়ে যান। যেখানে তাকে হত্যা করে লাশ বস্তায় ভরে ফেলে রাখা হয়।
দিলদারের পরিবারের অনেক সদস্যকে হেফাজতে রাখা হয়েছে
ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের স্বামী দিলদার আনসারী, শ্বশুর মুস্তাকিম আনসারী, শাশুড়ি মরিয়ম খাতুন, দিলদারের প্রথম স্ত্রী গুলেরা, দিলদারের ভাই মাহতাব ও আমির ও বোন শরেজা খাতুনকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে।
কুকুরগুলো শরীরের কাটা অংশ টেনে নিয়ে যাচ্ছিল
মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, শনিবার সন্ধ্যা 6 টায় বোরিও থানা এলাকার সাঁথালি মোমিন টোলায় অবস্থিত একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের পিছনে 12 টুকরা করে মহিলার বিকৃত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। জানা গেছে, কুকুরেরা শরীরের বিচ্ছিন্ন অংশ টেনে নিয়ে যাচ্ছিল, তারপর বিষয়টি জানাজানি হয় এবং পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। এরপর বিশাল বাহিনী নিয়ে আসে পুলিশের দল। এসময় তার সাথে ডগ স্কোয়াডও ছিল।
#রবক #হতয #রবক #এভব #মরন #দলদরর #মন #ঘণর #বষ #ভর #গছ #ভযঙকর #পদকষপর #পছন #অনক #শযতন